শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন




নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা

নড়াইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মধুমতি, নবগঙ্গা, চিত্রা, আফরা-কাজলা, নলিয়া, বানকানা(অধুনামৃত),আঠার বাঁকি, ঘোড়াখালী ও কালিগঙ্গা নদী বেষ্টিত নড়াইল জেলা। এক সময় এসব নদীতে নৌ চলাচল, মৎস আহরণ, মানুষের জীবন-জীবিকাসহ বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন এসব নদী দখল, নদী দূষণ, নদী ভরাটসহ বিভিন্ন কারণে তা বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে জেলার এসব নদীর তীরবর্তী দু’শতাধিক ব্যক্তি নদী দখল করে মাছের ঘের, গাছ-গাছালি এবং বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে।

নড়াইল শহরের কোল ঘেঁষে প্রবাহিত চিত্রা নদী অসংখ্য মানুষের দৈন্দন্দিন ও বানিজ্যিক কাজ আর বিনোদনের খোরাক যোগালেও শহরের পূর্ব ও দক্ষিন পাশের তিন কিলোমিটার নদীর তীর দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীর তীরবর্তী মানুষ এসব জায়গা নিজেদের দাবি করে এবং সরকারী খাস জমি দেখিয়ে জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেছেন। এছাড়া রয়েছে নদী দূষণ। সরকারি হিসেবে চিত্রা নদীর তীরে ৬৩টি অবৈধ বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে ।
শহরের রূপগঞ্জ এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা তাহিদুল ইসলাম (৫৫) বলেন, জন্মের পর থেকে এ নদীতে গোসল কওে আসছি। কিন্ত এখন গোসল করতে গেলে পানি থেকে দুগন্ধ বের হয় এবং শরীর চুলকায়। যেভাবে পানি দূষণ হচ্ছে তাতে এ পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে জানান, শহরের বিভিন্ন বাসা ও রূপগঞ্জ কাঁচা বাজারের বর্জ ড্রেনের সাহায্যে নদীতে পড়ে।
নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা কাজী হাফিজুর রহমান জানান, চিত্রা নদীকে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য প্রশাসন যদি দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে এই নদী অচিরেই তার রূপ হারাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ বলেন, চিত্রা, নবগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর তীরে শতাধিক ব্যক্তি নদীর তীর দখল করে আছে। ইতোমধ্যে সদর উপজেলায় চিত্রা নদী তীরবর্তী এলাকায় ৬৩জন নদীপাড় দখল করে আছে বলে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নেটিশ করা হয়েছে। এর পরও সেসব স্থাপনা না সরালে চুড়ান্ত নোটিশ করে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় বিভন্ন নদী তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদারদের চুড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক বলেন আনজুমান আরা বলেন, চিত্রা নদীর তীর দখলমুক্ত করে নদী তীরে তিন কিলোমিটার ওয়াক ওয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে। নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা আমাদের এ ওয়াকওয়ে নির্মানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765