1

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে চট্টগ্রামের জেলেরা

টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে স্বস্তি নিয়ে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে নেমেছেন চট্টগ্রামের জেলেরা। কার্তিকের ভরা পূর্ণিমায় আশানুরূপ ইলিশ পাওয়ার আশায় বুক বেধেছেন তারা।

বুধবার রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও প্রস্তুতি শেষ করে বৃহষ্পতিবার ভোর থেকে সাগরে মাছ ধরতে যান চট্টগ্রাম নগর ও পাঁচ উপকূলীয় এলাকা সীতাকুন্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও বাঁশখালীর জেলেরা।

এ দিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে চট্টগ্রামের মাছের সবচেয়ে বড় মোকাম ফিশারিঘাটে।

সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আহ্বায়ক মো. শামসুল আলম জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলে ও তাদের পরিবারের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বৃহষ্পতিবার ভোর থেকে জাল নিয়ে সাগরে গেছেন বেশিরভাগ জেলে। চট্টগ্রাম মহানগর ও উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যাদের সবাই গেছেন সাগরে। আশা করছি সামনের পূর্ণিমায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

ইলিশ নিয়ে জেলেরা দুই সপ্তাহ পর সাগর থেকে ফিরে আসবেন। সরকার গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, বিক্রয়, মজুদ, সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

চট্টগ্রামের মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত ছিল। এর ফলে এবার অতীতের চেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে নগর ও পাঁচটি উপকূলীয় এলাকার ১৭ হাজার ৫০০ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।