1

নাগেশ্বরীতে বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ী ঢলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ী ঢলে দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, ফুলকুমর, শংকোষসহ গীড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে আউশ ধান ক্ষেত ও রোপা আমন বীজ তলা।
উপজেলার ১ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে কম-বেশি প্লাবিত হয়েছে নুনখাওয়া, নারায়নপুর, কেদার, বল্লভেরখাস, কচাকাটা, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ী, বামনডাঙ্গা, রায়গঞ্জ, ভিতরবন্দ ইউনিয়ন এবং নাগেশ্বরী পৌরসভার কিছু অংশ। পানিতে ভাসছে সম্পুর্ন নারায়নপুর ও কচাকাটা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা। একই অবস্থা বন্যা আক্রান্ত বাকী ইউনিয়নগুলোর। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সেখানকার মানুষ। চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়া গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যার্তরা। ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার শতাধিক গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ। শনিবার সন্ধায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৬.৫৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর আউশ ধান ক্ষেত। রোপা আমন বীজতলা ৫ হেক্টর। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক সবজি ক্ষেত। এছাড়াও ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদৌলা জানান, বন্যা পরিস্থিতির খবর জানতে বন্যা আক্রান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, বানভাসীদের জন্য ৫ মে.টন চাউল, ২৫ হাজার টাকা ও ২শত প্যাকেট শুকনো খাবার সরকারী বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এখনো তা পৌঁছায়নি। সেগুলো পেলে বিতরণ করা হবে।