রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন




ধর্ষকের সাথে স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেয়ার অভিযোগে এসআই বদলি

লালমণিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

লালমণিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সাথে ৫০হাজার টাকা যৌতুকে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিয়ে দেওয়ার দায়ে লালমনিরহাট সদর থানার এক এসআই’কে বদলি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার এম এম রশিদুল হক।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী আফজাল হোসেনের ছেলে শাহিন আলম (২৪) এর কাছে প্রাইভেট পড়তো। এ সুযোগে তাকে প্রেমের জালে আটকে ফেলে শাহিন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করে। গত ২৫ জুলাই ওই স্কুলছাত্রীকে শহরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটালে বিষয়টি জানা জানি হয়। পরে কয়েকদিন চলে গ্রাম্য সালিশের নামে টালবাহানা। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রীর বাবা গত ১১ আগস্ট সদর থানায় অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক শাহিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলাম গত ১২ ও ১৪ আগস্ট দুইদিন মামলাটি তদন্ত করেন। কিন্তু তদন্ত শেষে মামলাটি রেকর্ড না করে তিনি আসামি পক্ষের সাথে যোগসাজসে উল্টো ৫০হাজার টাকা যৌতুকে জোরপূর্বক অভিযুক্ত ধর্ষক শাহিনের সঙ্গে নাবালিকা স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেন।

গত ১৭ আগস্ট প্রতিবেশী ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলামের অফিসে এ বিয়ে সম্পন্ন হলেও স্কুলছাত্রীর পরিবারকে বিয়ের কাবিননামা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা।
মেয়ের বাবা আক্ষেপ করে বলেন, আমার মেয়েকে এখনো ঘরে তুলে নেয়নি শাহিন। উপরন্তু, গ্রামে প্রচার করছে সে আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে। সেদিন যদি পুলিশ মামলা রেকর্ড করে আসামিকে গ্রেপ্তার করতো তাহলে আজকের এই দিনটি আমাকে দেখতে হতো। তিনি বলেন, এসআই মাইনুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ৫০হাজার টাকা যৌতুক ধ্যর্য করে তার নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী বলেন, ‘এসআই মাইনুল ইসলাম আমার বাড়িতে এসে আমাকে বলেন, তুমি বিয়ে করবে, না জরিমানা নেবে। আমি বলি বিয়ে করবো না, পড়াশোনা করবো। আর আমার যে ক্ষতি করেছে তার বিচার চাই। তখন পুলিশ ধমক দিয়ে বলে, তোকে অভিযুক্ত শাহিনকে বিয়ে করতে হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মাইনুল ইসলাম কোন মন্তব্য না করলেও থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, এক সপ্তাহ পর গত বুধবার রাতে আমরা মামলাটি রেকর্ড করেছি আর অভিযুক্ত ধর্ষক শাহিন আলমকে গ্রেফপ্তারও করেছি।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, এসআই মাইনুলকে প্রাথমিক অবস্থায় বদলি করা হয়েছে। আর তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765