1

ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড চান ঢাবি ছাত্রীরা

ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানবন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

এ সময় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে এ কর্মসূচির ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সচেতন নাগরিকরাও অংশ নেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রীবৃন্দ’ এর ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শান্তি প্রকাশ্যে মৃত্যদণ্ড চাই’, ‘পরবর্তী ধর্ষিতা আমি হবার আগে, আমার সুরক্ষা রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দিতে হবে’। একই লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেন সচেতন নাগরিক সমাজ। শিক্ষার্থীদের বহন করা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘শিশুকামীদের ফাঁসি চাই, মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝোলাতে হবে’, ‘বিকৃত মানুষরুপী জানোয়ারমুক্ত সমাজ দাবি নয়, অধিকার..’, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড চাই। অন্যান্য অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার হলেও ধর্ষকদের বিচার হয় না। একটা খুনের চেয়ে কোন অংশে ধর্ষণকে ছোট মনে করি না। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষকরা ভয় পাবে।’

পরিবেশ বিজ্ঞানী কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেন, ‘ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। যেকোন মহামারি সরকার চাইলে রুখতে পারে। প্রশাসন যদি তাদের এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত থেকে খোঁজ খবর নেয়, তাহলে ধর্ষণ রোধ হবে। একজন ধর্ষণ হলে পুরো পারিবারিক কাঠামো ভেঙে যায়। পরিবারটা আর কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না।