রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
বাগেরহাটে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি বাগেরহাটে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে হাসপাতাল অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে সিটিজেন টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন বাগেরহাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাগেরহাটে সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষন শুরু বাগেরহাটে ই-জিপি সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সমন্বয় করে কাজ করলে দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না -মহাপরিচালক, এনজিও ব্যুরো কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন বাগেরহাটে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৫০ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা ( ভিডিও)




দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ জাবির প্রশাসনিক ভবন

সাভার প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজকের অবরোধের ফলে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সকালেই প্রো-ভিসি অধ্যাপক আমির হোসেন এবং রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা শুধু তাদের দাবির বিষয়েই কথা বলবেন।

গতকাল মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবরোধ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। ভবন দুটিতে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেন অবরোধকারীরা।

আজ বুধবার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করা হবে। আগামীকালের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে আলোচনা করে আরও কঠিন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অবরোধকারীদের অন্য দুটি দাবি হলো- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে নির্মিতব্য তিনটি দশতলা হলের বিকল্প স্থান নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য গত বছরের ২৩ অক্টোবর ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের জন্য গত ১ মে টেন্ডার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হলগুলো নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। গত ২৩ মে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টেন্ডার শিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

এদিকে, নির্মাণকাজ বাধাহীনভাবে সম্পন্ন করতে গত ৯ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শাখা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া নির্মিতব্য হলগুলোর জন্য নির্বাচিত স্থানগুলোতে ১১শ’র অধিক গাছ কাটার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি গাছ কাটা পড়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নে যে মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে তা অপরিকল্পিত-অস্বচ্ছ।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি ছাত্রহলের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে গাছ কম কাটা পড়বে। আর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগির যে অভিযোগ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মিথ্যা দাবি করছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোনও উচ্চতর কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত হতে হবে। সেটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা ইউজিসির তদন্ত হতে পারে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765