1

দেশে এক বছরে ১৫ লাখ স্মার্টফোন সংযোজন করেছে স্যামসাং

প্রথম বৈশ্বিক মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন কারখানা স্থাপন করে স্যামসাং বাংলাদেশ। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি এদেশে কারখানা স্থাপনের এক বছর পূর্ণ করেছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশ এবং এদেশে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় অংশীদার ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এক বছর পূর্তি উৎসব পালন করছে।

এ উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্যামসাং বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব এবং স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইয়ুন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ডিরেক্টর এইচ ডি লি; জেনারেল ম্যানেজার বোমিন কিম; হেড অব মার্কেটিং আশিক হাসান, হেড অব প্রোডাক্ট টিম ফজলুল মুশাইর চৌধুরী এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং কমিউনিকেশনস) প্রিয়াম হাসনাত।

অন্যদিকে ফেয়ার গ্রুপের চীফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হেড অব মার্কেটিং জে এম তাসলিম কবির এবং ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) রাজেশ শর্মা।

বাংলাদেশে ব্যাপক পরিসরে প্রভাব বিস্তারকারী ফেয়ার গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স-এর সহযোগিতায় নরসিংদীতে স্থাপিত হাই-টেক ফ্যাক্টরিতে দেশীয় বাজারের জন্য স্মার্টফোন সংযোজন করছে।

গত এক বছরে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং বিশ্ব সেরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের উপযোগী ১৫ লাখেরও বেশি ফোরজি স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। সংযোজনকৃত হ্যান্ডসেটগুলোর মধ্যে সবগুলোই ফোরজি স্মার্টফোন। হ্যান্ডসেটগুলোর বাজার মূল্য সর্বনিম্ন ৭,৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন গ্যালাক্সি এম সিরিজ এবং প্রায় সকল গ্যালাক্সি এ সিরিজের হ্যান্ডসেটগুলোও রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। স্যামসাং বাংলাদেশের সহযাত্রী হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে আমরা আশাবাদী। ভবিষ্যতেও ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স তাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্যামসাং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইয়ুন বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাতে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশটি প্রযুক্তি হাবে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট-এর তথ্যমতে, ২৫ শতাংশেরও বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে পরিমাণের ভিত্তিতে স্যামসাং এক নম্বর স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান।

এর পাশাপাশি ৪৩ শতাংশেরও বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে অর্থমূল্যের ভিত্তিতেও এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড স্যামসাং। এই প্রাযুক্তিক বিপ্লবে অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা গর্বিত। এই চ্যালেঞ্জিং যাত্রাপথে আমাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য সকল ক্রেতা, বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম, আমাদের সকল কর্মকর্তা এবং অংশীদারদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

তিনি আরও বলেন, স্যামসাং মোবাইলের এসকেডি (সেমি নক ডাউন) কার্যক্রম-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের পথ সুগম হবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশে স্যামসাং-এর বিভিন্ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ১০০০ দক্ষ কর্মী কারখানায় কর্মরত আছেন, যাদের ২৫ শতাংশ নারী। সর্বমোট ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার কারখানায় নিয়োজিত আছেন।

এদের মধ্যে ১০ জন সার্বক্ষণিকভাবে স্যামসাংয়ের কাজে নিয়োজিত। কর্মীদের জন্য রয়েছে উন্নতমানের ক্যান্টিন সুবিধা, ডাক্তারদের দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সুবিধা, বিদেশে প্রশিক্ষণ সুবিধা, ব্যক্তিগত উন্নয়ন বিভিন্ন কার্যক্রম, দলীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং বিনোদনের সুবিধা।