1

দীর্ঘ ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে ফকিরহাটের গৃহবধু নাজমা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের গৃহবধু নাজমা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত নাজমা ফকিরহাট উপজেলার দোহাজারি এলাকার হারুন শেখের কন্যা এবং রূপসা থানার সল্পবাহিরদিয়া এলাকার মাঈন উদ্দিনের পুত্র মোস্তফা কামালের স্ত্রী। যৌতুকের দাবীতে নাজমা খাতুনকে নির্যাতন ও জোর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালাতক রয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, দুই বছর আগে রূপসা থানার কাজদিয়ার সল্পবাহিরদিয়া এলাকার মাঈন উদ্দিনের পুত্র মোস্তফা কামালের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নাজমার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নাজমা উপর নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী মোস্তফা কামাল। একবছর পর এই সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলেন সাজমা।
নিহতের পরিবারের দাবী, পরোকীয়া প্রেমে আসক্ত স্বামী যৌতুকের দাবীতে ২০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধু নাজমাকে পিটিয়ে আহত করে জোর পূর্বক মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টা চালায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় কাজদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন।
খবর পেয়ে নাজমার পরিবারের লোকজন পরের দিন তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শনিবার সকালে পৃত্রালয়ের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে নতুনবার্তা২৪ডটকমকে জানান, এঘটনায় মামলা দায়ের করতে হলে তা রূপসা থানাতেই করতে হবে।