1

ডেঙ্গু আতঙ্কে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

রাজধানীর পল্লবীতে ঠিকমতো মশার ওষুধ না ছিটানোর অভিযোগে স্থানীয় কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্থানীয় এক সংক্ষুব্ধ বাসিন্দা।

মিরপুর ১২ নম্বর পল্লবী সেকশনের বি ব্লকের ইউসুফ আহমেদ(৩৯) মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন।

অভিযোগকারী ইউসুফ আহমেদ বলেন, আমি পল্লবীর কালসী এলাকার বাসিন্দা। আমি নিয়মিত কর পরিশোধ করা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এমনকি মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওষুধ ছিটাতে কাউন্সিলকে ফোন দিয়েও পাইনি।

তার অভিযোগ, বর্তমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসার আশপাশে একবারের জন্যও ওষুধ ছিটানো হয়নি। কাউন্সিলর এলাকাতেই থাকেন না।

তার আশঙ্কা, এখনও যদি ওষুধ ছিটানো না হয় তবে আমরা যেকোনও সময় আক্রান্ত হতে পারি। আমাদের পুরো এলাকা এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাই জনস্বার্থে বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করেছি। এখন দেখি, কী ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।

তবে ওষুধ না ছিটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ওষুধ ছিটানো হয়নি, কথাটি সত্য নয়। আমাদের এলাকাটি অনেক বড়। পুরো এলাকায় একসঙ্গে মশার ওষুধ দেয়া যায় না। ক্রমান্বয়ে দিতে হয়। তবে এখন মেশিন বেড়েছে। একেকদিন একেক এলাকায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, কালকে অপরিচিত এক লোক ফোন দিয়ে কালসী এলাকাতে মশার ওষুধ ছিটাতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু আমি ওখানে দুইদিন আগে মশার ওষুধ ছিটিয়েছি। আবার ১৫ দিন পর সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।

তিনি জানান, আমার ওয়ার্ডের আয়াতন অনুসারে পর্যাপ্ত মশার ওষুধ নেই। তবে মেয়রকে বাড়াতে অনুরোধ করেছি।

তবে অভিযোগকারী ইউসুফ বলেন, পর্যাপ্ত মশার ওষুধ নেই, কথাটি সত্য না। উনি নিজের লোকদের মশার ওষুধ ছিটাতে দেন, কিন্তু তারা না ছিটিয়ে তা মেরে দেন।

এই সফটওয়্যার ব্যবসায়ী বলেন, আমার বন্ধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আমার পরিবারও আতঙ্কিত। মেয়রকে ওষুধ ছিটানোর কথা বললে উনি তা কানে তোলেননি। এমনকি যখন বললাম-আপনার বিরুদ্ধে মেয়রের কাছে নালিশ করবো বা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। জবাবে উনি বললেন, আপনি যা পারেন করেন।