1

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মায়ের মৃত্যু, মেয়ে চিকিৎসাধীন

একই সঙ্গে মা ও মেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু মেয়ে খাদিজা আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও মা নাদিরা বেগম (৪০)-কে শনিবার ভোরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

এই নিয়ে মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গুতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৪ জন। এছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৮ রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছে মাদারীপুর থেকে। বাকিরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুরে এসেছে। এখনো সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার রুবেল হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার (২২), বুধবার রাতে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মারা যান শিবচরের সলুবেপারীরর কান্দি এলাকার বাবু খানের ছেলে ফারুক খান (২২) ও তার আগের দিন মঙ্গলবার কালকিনি উপজেলার পৌরসভার ঠেঙ্গামারা গ্রামের বারেক বেপারীর ছেলে জুলহাস বেপারী (৪৫) ঢাকায় মারা গেছেন।

এছাড়াও শনিবার নাদিরা বেগম নামে এক নারী কালকিনিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ নিয়ে মাদারীপুর জেলার চার জন বাসিন্দা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এতে উদ্বিগ্ন মাদারীপুরের সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গৃহবধু নাদিরা বেগমকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ৩০ জুলাই। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে মাদারীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। সে কালকিনি উপজেলার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের আলমগীর মোড়লের স্ত্রী। এছাড়া মাদারীপুর জেলায় এপর্যন্ত ৪৮ জনকে জেঙ্গু রোগী হিসাবে সনাক্ত করেছে জেলার চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এসএম খলিলুজ্জামান জানান, ২০ জন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চিকিৎসকদের ডেঙ্গুর ব্যাপারে আলাদা মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরনে সরকারীভাবে ১২০টি কিট আছে, যার মধ্যে ৬০টি রাখা হয়েছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে, বাকিগুলো অন্য সরকারী হাসপাতালে দেয়া হয়েছে।