1

ট্রাম্পের এক কথায় ‘দিশেহারা’ মোদি

ট্রাম্প কখন কী করেন সেটি বোঝা বড় দায়। শুধু তার মুখের কথায় কত দেশের কত বড় বড় নেতা যে বিপাকে পড়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এবার যেমন হাড়েহাড়ে অনুভব করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে সমঝোতা করার জন্য মোদি তাকে অনুরোধ করেছেন। এই খবরে ভারতীয় সংসদ রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ক্ষণিকের জন্য কোণঠাসা হয়ে পড়া মোদি বলছেন, তিনি ওই কথা বলেননি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন মার্কিন সফরে আছেন। তার সঙ্গে আছেন সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া, আইএসআই প্রধান ফৈয়জ হামিদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে ওভাল অফিসে ইমরানের পাশে বসেই ট্রাম্প মধ্যস্থতার কথা তোলেন। ইমরান প্রথমে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়া দরকার।’ সে কথার সূত্রেই ট্রাম্প যোগ করেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে মোদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।’

‘তিনি জানতে চান, আমি মধ্যস্থতা করতে রাজি কি না। আমি প্রশ্ন করি, কোন বিষয়ে। তিনি বলেন, কাশ্মীর। কারণ বিবাদটা অনেক দিন ধরে চলছে। আমি তাকে জানাই, মধ্যস্থতা করতে পারলে আমি খুশিই হব।’

এ কথা শুনে ইমরান বলেন, ‘এটা হলে ১০০ কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে।’

ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন কোনো অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করেননি। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হলে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই তা হবে।’

মঙ্গলবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সংসদের শুরুতেই ঝড় তোলেন। মোদিকে ধুয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে সে দেশেও। মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ব্র্যাডলি জেমন শেরম্যান টুইটে বলেন, ‘প্রত্যেকেই জানেন, কাশ্মীর নিয়ে কখনই তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি মেনে নেয়নি ভারত। ট্রাম্পের এই মন্তব্য অপেশাদার ও বিভ্রান্তিকর। আমি এ জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীঙ্গলার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।’