1

ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে নারী ও শিশুসহ তিন যাত্রী নিহত হয়েছে। রোববার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা গোবিন্দপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ও আহত মাইক্রোবাসের যাত্রীরা কুমিল্লা আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা। তবে মধ্যে নিহতদের মধ্যে শিশু রবজা (৭) কুমিল্লা নগরীর অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে। বাকি এজন পুরুষ এবং একজন নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতরা হলেন— নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাদের সকলের শরীর ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী ওঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের ওপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা এসে তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।

বশির ভূইয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস লোকাল যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করত। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার শরীরের ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহতাবস্থায় সজিব ও মজনুকে সরাসরি কুমেকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অপর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, হতাহত হওয়া ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। মাইক্রোবাসটিতে মোট আটজন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেয়া হয়েছে।