1

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত

টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরও ২ আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন – মো. আব্দুল করিম (২৪) ও নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (২৭)। তারা দুজনেই নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা ছিল।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে জাদিমুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়। এ নিয়ে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ ৫ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা হ্নীলা ইউপিস্থ জাদিমুরা এলাকায় চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ের ওপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান নিয়েছে।

খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযান চালাই। এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।

এতে ঘটনাস্থলে এএসআই/কাজী সাইফ উদ্দিন, কং/নাবিল ও কং/রবিউল ইসলাম আহত হয়। জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক পাল্টা গুলি ছুড়ে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিই। পুলিশ ২৮ (আটাশ) রাউন্ড গুলি করে।

গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আমরা গুলি করা বন্ধ করি। সেই সুযোগে ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এর পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত উৎসুক জনসাধারণের মধ্য হতে গুলিবিদ্ধ ২ জন ব্যক্তিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সহ ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা গুলিবিদ্ধ ২ ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল করিম (২৪) ও নেছার আহম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (২৭) বলে জানান।

জানা গেছে. আব্দুল করিম (এমআরসি নং- ৪৫৯৫০) নয়াপাড়া রেজিষ্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের জমির আহাম্মদের ছেলে।

নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (এমআরসি নং- ৩৫১২২) (২৭), একই ক্যাম্পের একই ব্লকের সৈয়দ হোসেনের ছেলে।

গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।

এছাড়াও ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ২ টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয় বলে জানান প্রদীপ কুমার দাশ।

এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ও ২৩ আগস্ট মো. শাহ, আব্দু শুক্কুর নামে আরও দুই আসামি একই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।

এর একদিন আগে ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ওয়াড যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে পাহাড়ের কাছে গুলি করে হত্যা করে।