1

টাইগারদের উড়িয়ে সিরিজ শ্রীলংকার

বাংলাদেশ ২০১৭ সালের পর টানা চার ম্যাচে হারল। শ্রীলংকা ২৩ ম্যাচ পরে টানা দুই জয় পেল। দুই বছর আগে শ্রীলংকায় পূর্ণাঙ্গ সফরে কোন সিরিজই হারেনি বাংলাদেশ। আর ৪৪ মাস পরে ঘরের মাঠে সিরিজ জিতল লংকানরা। তাও এক ম্যাচ হাতে রেখে। পার্থক্যটা পরিষ্কার। শ্রীলংকা বিশ্বকাপ থেকেই নতুনদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশ প্রায় তিন-চার বছর দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে শ্রীলংকায় গেছে। ফলও পরিষ্কার। প্রথম ম্যাচে হাথুরুসিংহের দলের কাছে ৯১ রানের হার। দ্বিতীয় ম্যাচে লংকান লায়নদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।

প্রথম ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ ছিল বাংলাদেশ। ফর্মহীন তামিমের নেতৃত্ব ছিল চোখে লাগার মতো রক্ষণাত্মক। মিডল ওভারে সৌম্য-মোসাদ্দেককে দিয়ে টানা বোলিং করিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও রক্ষণাত্মক দল নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চার বোলার। সঙ্গে মোসাদ্দেক-সৌম্যে ১০ ওভারের ভরসা। অথচ শ্রীলংকা পাঁচ নিয়মিত বোলার নিয়ে খেলেছে। অলরাউন্ডার ম্যাথুসকে তারা বোলিংয়েই আনেনি। ফলটাও পেয়েছে হাতে নাতে।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে টস বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। এখানে সর্বশেষ ছয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করা দল জিতেছে পাঁচটি। প্রথম ইনিংসে শেষ ছয় ম্যাচে রানের গড়ও তিনশ’ ছাড়ানো। কিন্তু বাংলাদেশ করতে পারলো ২৩৮ রান। তাও মুশফিকের দারুণ ৯৮ রানের এক ইনিংসে ভর করে। শুরুতে সৌম্য সরকার দৃষ্টিকটুভাবে নুয়ান প্রদীপের ফুলটসে ক্রস ব্যাটে খেলে ১১ রানে লেগ বিফোর হন। অন্য ওপেনার তামিম অফের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ১৯ রানে। টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হলেন দেশসেরা ওপেনার।

সাকিবের জায়গায় দলকে ভরসা দেওয়ার দায়িত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন (১২ রান) এ ম্যাচেও ব্যর্থ। অথচ আফগানিস্তান ‘এ’ দল এবং শ্রীলংকা বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে শতক ছুঁই-ছুঁই দুই ইনিংস খেলেন তিনি। সাকিব-লিটন না থাকায় শ্রীলংকা সফরের দলে জায়গা পান মাহমুদুল্লাহ। এ ম্যাচে ৬ রানে আউট হন তিনি। বুঝিয়ে দেন তার সময় শেষ! বাংলাদেশ ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে ১১৭ রানে ৬ উইকেট। সাব্বির-মোসাদ্দেক ব্যর্থ হলে মেহেদি মিরাজ ও মুশফিক ৮৪ রানের জুটি গড়েন। মিরাজ খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

কিন্তু লংকান ব্যাটসম্যানদের দাপটে মামুলি হয়ে যায় ওই রান। আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া আভিস্কা ফার্নান্দো এ ম্যাচে ৭৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কুশল পেরেরা করেন ৩০ রান। দলের ১৪২ রানে তিন উইকেট হারায় শ্রীলংকা। সেখান থেকে কুশল মেন্ডিস এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৫.২ ওভার থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাথুস খেলেন হার না মানা ৫২ রানের ইনিংস। কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।

বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে মুস্তাফিজ দুই উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। শ্রীলংকার নুয়ান প্রদীপ, ইসুরু উদানা এবং আকিলা ধনাঞ্জয়া দুটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান রান আউটে কাটা পড়েন।