1

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন সালমা

‘জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম মানবিক উন্নয়নে কাজ করার মাধ্যমে। শিক্ষার প্রসারে সর্বদা কাজ করবো কোমলমতি শিশুসহ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে।’

ময়নসিংহের হালুয়াঘাট বড়দাসপাড়ায় ৩০০ শিশুকে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছেন কণ্ঠশিল্পী সালমা। এরপরই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। আর এটাকেই নিজের জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করলেন। এরইমধ্যে নিজের মেয়ের নামে স্থাপন করেছেন একটি ফাউন্ডেশন নাম ‘সাফিয়া ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট।’ সংস্থার মাধ্যমেই শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যেতে পারেন এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী।

মঙ্গলবার দুপুরে সালমা বলেন, ‘মানুষ স্বপ্ন যখন দেখে অনেক বড় স্বপ্নই দেখে। আমিও অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছি। আজ ৩০০ শিশুর হাতে শিক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পেরেছি। আগামীতে লাখ লাখ শিশুর হাতে তুলে দিতে চাই। আমার স্বপ্ন অনেক বড়। আমি চাই আপনাদের দোয়া, দেশের মানুষের দোয়া। নিজেকে মানবিক কাজ, মানব্ধিকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে চাই সবসময়।’

সালমা সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ সমাজের কাজে নিজেকে কিছুটা বিলিয়ে দেয়ার ইচ্ছা নিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু কিভাবে কাজটি শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। কারো সহযোগিতাও পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আমার স্বামী আইনজীবি সানাউল্লাহ নূর সাগরের সহযোগিতায় আল্লাহর নামে শুরু করলাম।’

কণ্ঠশিল্পী বলেন, ‘মানবিক উন্নয়নে প্রধান এবং একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা। তাই বাকি জীবন টা আমি ও আমার স্বামী মিলে শিক্ষা নিয়ে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। আমাদের মত ক্ষুদ্র মানুষের প্রচেষ্টা যদি সামান্য হলেও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সেটাই হবে পরম পাওয়া। সেই সাথে সমাজের বিত্তবান মানুষদের কে আহবান করবো তারা যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পিছিয়ে পড়া জনপদের মানুষ দের উন্নয়নে।’

সালমা আরও বলেন, ‘সুন্দর দেশটা আরও সুন্দর হোক, সকলের সুশিক্ষা নিশ্চিত হোক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষা উপকরণ খাতা কলম,খেলার সরঞ্জামাদি বিতরন সহ দুপুরের খাবার পরিবেশন করলাম। স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সকল কে ধন্যবাদ আমাদের কে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।’

সালমা সম্প্রতি কণ্ঠশিল্পী হাবিবের সুরে একটি গান গেয়েছেন। এখন ব্যস্ত বেশকিছু রেকর্ডিং নিয়ে। এছাড়া মূল লক্ষ্য মন পারফর্ম। সালমা বলেন, ‘আমাদের আয়ের একটা অন্যতম উৎস স্টেজ শো, তাই এদিকে আমাদের একটু মনোযোগ দিতেই হয়।’