আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই হারের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন বৃষ্টি এসে হার কিছুটা বিলম্বিত করছে বটে। তবে দুই দিন টানা বৃষ্টি না হলে বাংলাদেশের হার প্রায় নিশ্চিত। ইতিহাসের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা আফগানিস্তানের কাছে হার মানে লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়। ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলা একটি দলের ক্রিকেটাররা যদি এমন অপেশাদার মনোভাব দেখায়, তার চেয়ে বড় দুঃখের কিছু নেই!
ইতিহাস সবদিক দিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে। সোজা কথায়, চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। দুই উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তান ৩৭৪ রানের লিড পেয়ে গেছে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে কখনোই রান তাড়া করে জিততে পারেনি। সর্বোচ্চ সাফল্য তিনটি ড্র। এর মধ্যে একটিতে ছিল বৃষ্টির সহায়তা। বাকি দুটি পাঁচ দিন রান উৎসবের সৌজন্যে।
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স মোটেও বলার মতো নয়। একমাত্র সাকিব আল হাসানের পরিসংখ্যানটাই চোখে পড়ে। ১৯ ইনিংসে ৪১.৮৮ গড়ে করেছেন ৬৭০ রান করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। মুমিনুল হক ১২ ইনিংসে ৩৬.২০ গড়ে ৩৬২ রান। মুশফিকুর রহিম ৩৬.১৬ গড়ে ২১ ইনিংসে ৬৮৭ রান। এই তিনজন বাদে চতুর্থ ইনিংসে বাকি ব্যাটসম্যানদের পরিসংখ্যান এতটাই লজ্জাজনক যে না বলাই ভালো।
গোটা ক্রিকেটবিশ্ব জানে, বাংলাদেশ আবেগ দিয়ে ক্রিকেট খেলে। বিশেষজ্ঞরা বারবার এই ‘আবেগ’ কমিয়ে পেশাদার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ক্রিকেট বিষয়ে বোর্ড কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ বন্ধের জন্য গণমাধ্যমে রিপোর্টও হয়েছে বহুবার। খেলায় হার-জিত থাকতেই পারে। তার মানে এই নয় যে, নবীনতম একটি দলের কাছে ঘরের মাঠে অপেশাদার ক্রিকেট খেলে হারতে হবে! এই হার অবশ্যই লজ্জার! এখন দেখার, বৃষ্টি এই লজ্জার হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারে কিনা।