1

জাপা মহাসচিব রাঙ্গাকে আল্টিমেটাম রংপুর আওয়ামী লীগের

রংপুর প্রতিনিধি :

‘নুর হোসেন ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা ইত্যাদি সেবক ছিল, সে ভাল লোক ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক মেরেছেন, শেখ হাসিনার মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না।’

গত ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার এমপির এ ধরনের বক্তব্যে ফুঁসে উঠেছে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে দলটির নেতারা।

সোমবার দুপুরে নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সভায় এই আল্টিমেটাম দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল।

জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে অরাজনৈতিক, সুবিধা লোভী নেতা উল্লেখ করে তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নূর হোসেন নামটি স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। তার মতো গণতন্ত্রকামী যুবককে নেশাখোর, ফেন্সিডিল খোর ও ইয়াবা খোর বলে মসিউর রহমান রাঙ্গা নিজের রাজনৈতিক অজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে দেশে ইয়াবা, ফেন্সিডিলের অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু মসিউর রহমান রাঙ্গা সেটার অস্তিত্ব পেয়েছেন। কারণ সে তো রাজনীতিবিদ নয়, সে ছিল মটর শ্রমিক। তার কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। রাঙ্গাকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় রংপুরে রাঙ্গাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।

সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুম মনির বাশার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন প্রমুখ।