1

ছেলের আঘাতে মাকে জখম হতে দেখে বাবার মৃত্যু

কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ছোট ছেলের আঘাত থেকে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন মা। আর এই দৃশ্য দেখে বাবা রুহুল আমিন (৭০) স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে, এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাহিমা খাতুন (৬০) মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের ছোট ছেলে সাজু (৩০) ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন পলাতক রয়েছেন।

নিহত রুহুল আমিন স্থানীয় মৃত আফসার মণ্ডলের ছেলে। আহত মাহিমা খাতুন রুহুল আমিনের স্ত্রী।

নিহতের বড় ছেলে আব্দুল হালিম জানান, বাবা রুহুল আমিন জমিজমা চার ছেলের মধ্যে মৌখিক ভাবে বণ্টন করে দেন। এতে আমাদের ৩ ভাইয়ের কোন আপত্তি না থাকলেও ছোট ভাই সাজু এই নিয়ে আপত্তি জানায় এবং সকালে এই নিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাবার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমার মা ছুটে গেলে সাজু মায়ের মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ফেটে যায়। এ সময় আমার বাবা রুহুল আমিন মায়ের মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখে, ঘটনার আকস্মিকতায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। আমরা দ্রুত বাবাকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের সুরতহাল প্রস্তুতকারী মিরপুর থানার এসআই জালাল উদ্দিন বলেন, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম হোসেন ফরাজী বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কার্ডিয়াক ফেইলরে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে মারামারির ঘটনায় জড়িত নিহতের ছেলে সাজু ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন পলাতক রয়েছে।