1

চেয়ারম্যানের ছাড়া মাছে খেয়ে ফেলছে কৃষকের ধান!

নড়াইলের কালিয়ার পেড়লি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি টাকায় ব্যক্তির জমিতে রাস্তা নির্মানের নামে ঘের কেটে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে। এখন চেয়ারম্যানের ছাড়া মাছ বিলে প্রবেশ করে প্রায় ৫০ একর জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কৃষকের চাষকৃত আমন ধানের গাছ খেয়ে ফেলছে। ক্ষমতাসীন দলেন নেতা হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্থরা।

জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পেড়লি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জারজিদ মোল্যা গত তিন মাস পূর্বে এলজিএসপি এবং কর্মসৃজন ৩টি প্রকল্পের আওতায় কদমতলা রমজান মেম্বরের বাড়ি থেকে আশরাফ মাওলানার বাড়ি। আবার সেখান থেকে কদমতলা বিল অভিমুখী এবং কদমতলা হিন্দু পাড়ার ডোব থেকে চর জামরিলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড়কিলো মিটার কাঁচা রাস্তা নির্মান করেন। কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়া,সেচ সুবিধা এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির কথা বলে কৃষকের নিজস্ব জায়গার ওপর দিয়ে এ রাস্তা নির্মান করা হয়। রাস্তা নির্মানের সময় রাস্তার পূর্ব পাড় দিয়ে টানা দেড় কিলোমিটার লম্বা সৃষ্ট গর্ত অবিকল খালের মতো সৃষ্টি হয়। গত দেড় মাস আগে চেয়ারম্যান এ খালে প্রায় দেড়’শ মন হাফ কেজি ওজনের গ্রাস কার্প জাতীয় মাছ ছাড়েন।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন, বর্তমান বর্ষা মৌসুমে খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খালের মাছ ভেসে পাশ্ববর্তী প্রায় দেড়’শ কৃষকের ৫০ একর ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেখতে দেখতে রাক্ষুসে মাছ রোপনকৃত আমন ধানের গাছ খেয়ে উজার করে ফেলে। জমির মালিকরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারণেচেয়ারম্যানের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না ।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বর জানান, চেয়ারম্যান উদ্যেশ্যমূলকভাবে বিলের মধ্যে রাস্তা নির্মানের নামে ঘের কেটেছে। এ নিয়ে কেউ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক ব্যক্তি জানান, এখানে আনুমানিক ১শ বিঘা জমির ধান মাছে খেয়ে ফেলেছে তার পৈত্রিক প্রায় ৪ বিঘা জমির ধান রয়েছে। চেয়ারম্যান আমাদের ডেকে কিছু শোনেনি বা কিছু বলেনি। সে তার ইচ্ছা মতো এখানে মাছের চাষ করছে।
পেড়লি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্যা জানান, কদমতলার ডোব এলাকায় ১০-১২ বিঘা জমির আমন ধানের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষকদের ডেকে বলেছি তোমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। মাছ উঠে গেলে তারা এখানে ইরি ব্লক করতে পারবে। এ রাস্তা করতে ১০ লাখ টাকার বেশী খরচ হয়েছে। সরকার থেকে পেয়েছি ৩ লাখ টাকার মতো। বাকি টাকা নিজের কাছ থেকে খরচ হয়েছে। কৃষকদের সম্মতিক্রমে এবং ভালোর জন্য এ রাস্তা করা হয়েছে।

কালিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানিনা এবং কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, এ ব্যাপারে তার জানা নেই। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।