1

‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সম্ভবত ব্যর্থ হতে যাচ্ছে’

চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট যে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে যাচ্ছে তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর দায় বিটিশ ও আইরিশ সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুশিয়ার করেন তিনি। ডাবলিনে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভার্দাকারের সঙ্গে আলোচনার পর একথা জানান তিনি। গত জুলাইতে ব্রিটিশ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আসার পর এটিই আইরিশ নেতার সঙ্গে জনসনের প্রথম সাক্ষাৎ।

তবে বরিস জনসন একথাও বিশ্বাস করে অক্টোবরে ইইউ সম্মেলনের আগেই ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট পেছানোর বিষয়ে সম্মতি দেয়ার কথা বলেছেন। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেমন সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন।

বৈঠকের আগে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার পরও কীভাবে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ করাবেন সে বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চাইবেন।

তবে ডাবলিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, পার্লামেন্টে আগামী দিনগুলোতে কি ঘটবে সে ব্যাপারে তিনি এখনও অন্ধকারে আছেন। অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকরের ব্যাপারে দুই নেতার অবস্থান বিপরীত মেরুতে। এখন কীভাবে এই অচলাবস্থার অবসান ঘটবে তা কেউই ধারণা করতে পারছেন না।

চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর হলে যুক্তরাজ্যের মধ্যে থাকা উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে তল্লাশি ও কড়াকড়ি আরোপ হবে। সেখানে একটি ব্যাকস্টপের মাধ্যমে আইরিশ প্রজাতন্ত্র ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই পদ্ধতি তখনই কার্যকর হবে, যদি ইইউ আর যুক্তরাজ্যের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সময়েও কোনও বাণিজ্য চুক্তি না হয়। সেটি হলে ব্রেক্সিটের পরও ইইউর কিছু বাণিজ্যিক আইন যুক্তরাজ্যের উপর কার্যক থাকবে। যেটিকে বিতর্কিত মনে করছে কট্টরপন্থিরা।