1

চিতলমারীতে চার বাড়িসহ মাছের ঘের লুটের অভিযোগ : এলাকায় আতংক

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ওসমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে পুরুষশূণ্য পরিবারের নারীরা সংবাদ সম্মেলন করেও কোন প্রতিকার পাননি। খিলিগাতী গ্রামে তাদের চার বাড়িতে আবারো হামলা করে ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভয়ে এখন ফকিরপাড়ার নারী-শিশুরাও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা-ঢাকা দিয়েছে। ভাংচুর ও লুটে নেয়া বাড়ি পাহারা দিচ্ছে দুঃসম্পর্কের আত্মীয়রা। রাতে তাদেরকে পুরুষশূণ্য বাড়িতে পুলিশ প্রহরায় ঘুমাতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে খিলিগাতী গ্রামের ফকিরপাড়ায় ভয়াল আতংক বিরাজ করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খিলিগাতী গ্রামের জলিল ফকিরের বোন রহিমা বেগম অভিযোগ করে জানান, ওসমানের লোকেদের ভয়ে প্রায় দেড়মাস ধরে পুরুষশূণ্য রয়েছে ২০টি পরিবার। এই অত্যাচার-নির্যাতনের কথা গত ১১ জুন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেয় শওকাত ফকিরের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম। সংবাদ সম্মেলনের খবর পেয়ে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওসমান ও তার লোকেরা। পরদিন ১২ জুন বুধবার রাতে তারা জলিল ফকির, মিলন ফকির, মিজান ফকির ও রেজাউল ফকিরের বাড়ি আবারো ভাংচুর-লুট করে। দিনের বেলা ঘেরগুলো হতে মাছ লুটে নিচ্ছে। তাদের বাধা দেয়ার মতো কোন লোক এলাকায় নেই।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় দেড় মাস আগে বাগেরহাট পিসি কলেজের ছাত্র রুবেল হাওলাদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খিলিগাতী গ্রামের হাওলাদার ও ফকিরদের মধ্যকার পূর্ববিরোধ সতেজ হয়ে ওঠে। দুই পক্ষ হতেই থানা ও আদালতে পরস্পর বিরোধী মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকে মাঝে মধ্যে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ জানান, তিনি ওই চার বাড়িতে হামলা ও লুটের খবর শুনেছেন। বিষয়টির খোঁজ-কবর নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ওসমান হাওলাদার জানান, সংবাদ সম্মেলনের পরে কোন বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটের ঘটনা ঘটেনি। রুবেল হাওলাদার হত্যা মামলা হতে মুক্তি পেতে ওরা নানা অভিযোগ করছে।
খিলিগাতী গ্রামের নিকটস্থ ডুমুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই প্রভাষ সরকার জানান, যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে বর্তমানে খিলিগাতী ও ডুমুরিয়া বাজারে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।