1

চিতলমারীতে খালে বাঁশের পাটা দিয়ে প্রভাবশালীদের মাছ শিকার

চলতি বর্ষা মৌসুমে বাগেরহাটের চিতলমারীতে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ২০ টি খালে ও বিলে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করছেন। এভাবে সরকারি জলাশয়ে মাছ শিকারের কারণে খাল-বিলের পানি প্রবাহে চরম বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীতে ঠিকমত পানি ওঠানামা করতে না পারায় সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় মৎস্য চাষিরা ক্ষেভের সাথে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৩ টি নদী, ৫০ টি খাল ও বেশ কয়েকটি বিল রয়েছে। প্রতিবছর বর্যা মৌসুমে এখানের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি কমপক্ষে ২০ টি খালে ও বিলে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করে।

মৎস্য চাষি হরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, বিকাশ বাড়ৈ, হরেন্দ্র নাথ রানা, শংকর হালদার ও ভঞ্জন মন্ডল জানান, প্রতিবছর বর্যা মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খিলিগাতীর কাটাখালির খাল, সীমানার খাল, রায়গ্রামের নারানখালির খাল, বাঁশতলার খাল, ডুমুরিয়ার দাড়ার খাল, বড়কাটাখালীর খাল, বসন্দরী খাল, খড়িয়ার আমতলীর খাল হরিখালীর খাল, বেন্নবাড়ির খাল, সোনাখালীর খাল, বারাশিয়ার খাল, ঝালডাঙ্গার ডোঙার খাল, পারডুমুরিয়ার নকির খাল, মাঝিবাড়ির খাল ও সিংগা বিলার খালসহ ২০ টি খালে ক্ষমতার প্রভাব ও বংশীয় প্রভাব খাটিয়ে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করে আসছেন। ফলে সরকারি জলাশয়ে মাছ শিকারের কারণে খাল-বিলের পানি প্রবাহে চরম বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নদীতে ঠিকমত পানি ওঠানামা করতে না পারার কারণে সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সরকারি জলাশয়ে মাছের অবাধ বিচরণে বাধা সৃষ্টিকারী ও মাছের প্রাণনাশকারীদের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।

তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলাম জানান, সরকারি জলাশয় থেকে মাছ ধরার অবৈধ উপকরণ উঠিয়ে নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ গুলো উঠিয়ে না নিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।