1

চলতি মাসেই লুব-রেফের আইপিও অনুমোদনের আভাস

অদৃশ্য কারণে বন্ধ ছিল নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) অনুমোদন। তবে আনন্দের খবর হচ্ছে আবারও নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন শুরু করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসই)।

প্রায় আড়াই বছর আগে রোড শো সম্পন্ন করা দেশের প্রথম লুব্রিক্যান্ট ব্লেন্ডিং কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডসহ বেশ কিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদন বন্ধ ছিল। তবে বিনিয়োগকারীদের জন্য আনন্দের খবর হচ্ছে. নতুন কোম্পানি আইপিওতে আসতে শুরু করেছে। আর নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের লাইনে যুক্ত হচ্ছে লুব-রেফ। খুব শিগগিরই কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন হতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ভালো মানের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন হলে পুঁজিবাজারের গতি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নতুন ভালো মানের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সূত্রমতে, বিএসইসিসহ সকল নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাহিদামতো সকল কাগজপত্র সাবমিট করেছে লুব-রেফ। এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লুব-রেফের আইপিও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতে, নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদনে বাংলাদেশে দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। এতে করে ভালো মানের কোম্পানি এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই ভালো মানের কোম্পানিগুলো যেন দীর্ঘসূত্রিতার কারণে পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে সেজন্য বিএসইসিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। খুব অল্প সময়েই ভালো মানের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া উচিত।

লুব-রেফ লুব্রিকেন্ট তৈরি করে। তাদের বিএনও নামে তারা লুব্রিকেন্ট বাজারজাত করে। দেশীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের তৈরি লুব্রিকেন্ট বিদেশেও রপ্তানি হয়। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখন কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে আসলে দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে বলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধারণা। তাই অতি শিগগিরই কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন উচিত। আর এব্যাপারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করবে লুব-রেফ। কোম্পানির পক্ষ থেকে সকল প্রকার রিভিও সম্পন্ন করা হয়েছে। জানা গেছে, আইপিওতে উত্তোলিত টাকায় ব্যাপক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এবং নতুন কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে ৯৮ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ৪৬ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়। রোড-শো তে যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজার ও তাদের পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও ফান্ডের ম্যানেজার, ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করা বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এবং কমিশন অনুমোদিত বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস সূত্রে জানা গেছে, লুব-রেফের অনুমোদিত মূলধন ২’শ ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে কাজ করছে বেটাওয়ান ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।