1

চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড় ধসের শঙ্কা

বৈরি আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

পাহাড়ের বাসিন্দাদের সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য ইতোমধ্যে আটটি আশ্রয়কেন্দ্রও স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এদিকে মৌসুমী বায়ু এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের কারণে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত ও পাহাড় ধসের পূর্বাভাস দিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস।

রোববার ভোর থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতও রেকর্ড করা হয়। পাহাড় ধস থেকে নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে জেলা প্রশাসন থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রও। নগরীর আকবর শাহ ও পাহাড়তলি এলাকার পাহাড়ের বাসিন্দাদের জন্য পাহাড়তলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; কৈবল্যধাম, লেকসিটি, ফয়েজ লেক এলাকার ১ ও ২ নম্বর ঝিল এলাকার জন্য ফিরোজা শাহ-ই ব্লোক স্কুল; মধুশাহ পাহাড় ও পলিটেকনিকাল সংলগ্ন পাহাড়ের জন্য চট্টগ্রাম মডেল হাই স্কুল; জালালাবাদ হাউজিং সংলগ্ন পাহাড়ের জন্য জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেড; লালখান বাজারের টাংকির পাহাড়ের জন্য আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসা; মিয়ার পাহাড়ের জন্য রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়; মতিঝর্ণা পাহাড়ের জন্য লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পোড়া কলোনির বাসিন্দাদের জন্য ছৈয়দাবাদ স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুর রহমান জানান, পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সহকারি কমিশনার এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ শুরু হয়েছে। পাহাড়গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার ও পানি মজুদ রাখা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারি পূর্বাভাস কর্মকর্তা শ্রীকান্ত কুমার বশাক বলেন, মৌসুমি বায়ু এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের কারণে ঝড়ো হাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ এবং পাহাড় ধসের সম্ভবনা রয়েছে। রোববার সকাল থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।