1

‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে’-মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে স্বৈর শাসন কায়েম হয়েছে। সরকারের স্বৈরাচারি আচারণের কারনে দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা করছে না তারা। যে কারনে আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। এ জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’

দেশে এখন হত্যা ও ধর্ষণের উৎসব চলছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, মেঘা প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট। এসব কিছুই হচ্ছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার কারণে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সরকার এসব অন্যায় করার সাহস পেত না।
বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগে দেশের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ মিথ্যা মামলায় ২৬ লাখ আসামি করেছে, এক হাজার মানুষকে গুম করেছে।
খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদীস পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে গঠিত হওয়া অবৈধ এই সরকার দেশকে নারকীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সব কাজ করছে। এসব অন্যায় অত্যাচারে সাধারণ মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সাধারণ মানুষকে জালিম সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে সকাল ১১টা থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা। এদিকে মিছিলের জন্য সমাবেশের আশ পাশের রাস্তায় স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। সমাবেশের শুরুতেই বিভাগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মসিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহামেদ রুমী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের শিল্পীরা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে দলীয় ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন।