1

খুলনায় পাউবো’র ৮ কোটি টাকার সংস্কার কাজে দূর্নীতির অভিযোগ

খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সেখানে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দে বাঁধের ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের ঠিকাদার ও পাউবো’র নিয়োজিত শ্রমিক সরদাররা কাজের গুনগত মানের চাইতে বরাদ্দ আত্মসাতের পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে।
সোমবার ‘কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পাউবো’র কাজের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ও দূর্নীতি বন্ধের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ডিপিএম (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) প্রকল্পের আওতায় পাউবো কর্মকর্তারা তাদের পছন্দের লোক দিয়ে সাড়ে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দে বাঁধের ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থনে সংস্কার কাজ করছে। এছাড়া ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে বাঁধের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে মাটির কাজ চলমান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি কাজের সাইটে বর্ণনা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টানানোর কথা। কিন্তু কাজের শেষ পর্যায় পর্যন্ত কোথাও সাইনবোর্ড টানানো হয়নি। ফলে কাজের মান সম্পর্কে স্থানীয় মানুষ কিছুই জানতে পারছে না। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বসীল কাউকে কাজের সাইটে না পাওয়ায় কারো কাছে কৈফিয়ত তলব করা যাচ্ছে না।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক স্বদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছি। আমরা নদী ভাঙনের থেকে রক্ষা পেতে বরাবর টেকসই বেড়িবাঁধের দাবী করে আসছি। কিন্তু সে দাবী বাস্তবায়ন হচ্ছে না। একটি প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করে যাচ্ছে। তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই।
সংগঠনের সদস্যসচীব ইমতিয়াজ উদ্দীন অভিযোগ করেন, এ মুহুর্তে কয়রা উপজেলার ৩৫টি স্থানে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দে বাঁধ সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। অথচ একটি স্থানেও কাজের বরাদ্দ ও পরিমান উল্লেখ করে কোন সাইনবোর্ড টানানো হয়নি।
তিনি বলেন, কাজের স্বচ্ছতা আড়াল করে অর্থ আত্মসাতের জন্য জন সম্মুখে কাজের তথ্য প্রকাশ করতে চায়না কর্তৃপক্ষ। যে কারনে দায়সারা কাজ করে বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করা হয়। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবী জানিয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পাউবো’র সংস্কার কাজে স্বচ্ছতার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।