1

খুলনায় জুলাই মাসে ৫ খুন, ৭ ধর্ষণসহ মামলা দায়ের হয়েছে ৩১৯টি

খুলনায় জুলাই মাসে ৫টি হত্যাকান্ডের ঘঁনা ঘটেছে। এ সময় ৭টি ধর্ষন হয়েছে। এছাড়া চুরি, নারী নির্যাতন, অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট মামলা হয়েছে ৩১৯টি। খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির আগস্ট মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় গত জুলাই মাসে চুরি ৮টি, খুন ৩টি, অস্ত্র আইন ৫টি, ধর্ষণ ৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৮টি, নারী ও শিশু পাচার ৩টি, মাদকদ্রব্য ২৫৫টি এবং অন্যান্য আইনে ৭৫টি সহ মোট ৩৪০টি মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা অধিক্ষেত্র জুন ২০১৯ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৭২টি। খুলনা জেলার অধিক্ষেত্রে গত মাসের তুলনায় ১৬৮টি মামলা বেড়েছে।

খুলনা মহানগরীতে গত জুলাই মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৪টি, খুন ২টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১২টি, নারী ও শিশু পাচার ৩টি, মাদকদ্রব্য ৯০টি এবং অন্যান্য আইনে ৩১টি সহ মোট ১৪৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্র জুন ২০১৯ মাসেও এ সংখ্যা ছিল ১৮৩টি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে গত মাসের তুলনায় ৩৬টি মামলা হ্রাস পেয়েছে।
ডেঙ্গুরোগে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক সভায় বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে জেলায় ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট কিনতে খুলনা সদর হাসপাতালের জন্য ১০ লাখ ও জেলার প্রতি উপজেলা হাসপাতালের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য সরকারি হাসপাতালে সকল পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করছে। এপর্যন্ত খুলনা জেলায় ২৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতবরণ করেছেন তিনজন। তবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গুরোগীর ৯৫ শতাংশ ঢাকা হতে রোগাক্রান্ত হয়ে খুলনায় এসেছেন।

সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তাররোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশুরহাটকে কেন্দ্র করে জাল টাকার বিস্তাররোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর রয়েছে। কোরবানি করা পশু চামড়া যেন পাচার হতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।
এসময় বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্থানীয় ঠিকানা ব্যবহার করে কোন ভাবেই যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিদের্শনা দেন সভাপতি।

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পষিদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।