1

খুলনায় ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

খুলনার পাইকগাছায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রপচারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। ওই প্রসূতির নাম নাসরিণ আক্তার (১৯)। তিনি পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি ইউনিয়নের দেবদুয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাসুম সরদারের স্ত্রী।

প্রসূতির স্বামী মাসুম সরদার জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে শাপলা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স পরিচয়দানকারি এক নারী ফুসলিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান তার স্ত্রীকে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থ্ানীয় চিকিৎসক আঃ মজিদ ওই প্রসুতির অস্ত্রপচার করেন। এ সময় তার একটি কণ্যা শিশু জন্ম নেয়। পরবর্তিতে ওই প্রসূতির অস্ত্রপচারের স্থানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে চিকিৎসক আঃ মজিদ ক্লিনিক ছেড়ে চলে যান। পরে ক্লিনিকের লোকজন তাকে একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যান।

আদ-দ্বীন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হোসেন আলী বলেন, রাত ১১টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ওই রোগীকে আমাদের এখানে নিয়ে আসেন। আমাদের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত বলে জানিয়ে দেন। পরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করে।
জানতে চাইলে চিকিৎসক আঃ মজিদ বলেন, ‘আমাকে একজন রোগীর সিজার করার কথা বলে নিয়ে যায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আমি ওই প্রসূতির সিজার করে চলে আসি। পরে কি ঘটেছে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপস মিস্ত্রির মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ এ,এস,এম আঃ রাজ্জাক বলেন, এর আগেও ওই ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা ওই ক্লিনিকটি সে সময় বন্ধ করে দেই। পরে তারা উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে ক্লিনিকটি আবার চালু করেছে। প্রসূতি মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত পূর্বক দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।