1

খুলনার কর কমিশনারের ছেলে শিঞ্জন রায় রিমান্ড শেষে কারাগারে

 

খুলনার একটি বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহপাটি প্রেমিকাকে ধর্ষন এবং সাত মাসের গর্ভবতি মামলায় গ্রেফতার কর কমিশনার পুত্র শিঞ্জন রায়ের এক দিন রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে । মুখ্য মহানগর হাকিম আদলত মো: শাহীদুল ইসলাম আসামী শিঞ্জন রায়কে খুলনা জেলা কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে পুলিশ এই মামলার বাদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর দার করেছে । সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শিঞ্জন রায় ঘটনা প্রেমিকার সাথে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করার কথা স্বীকার করেছে । এবং মামলা অনেক আলামত তারা জব্দ করেছে । স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করা সহ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করার প্রমান পুলিশ পেয়েছে । যে সব বাড়ীতে তারা স্বামী –স্ত্রী রুপে বসবাস করতো তারাই পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছে শিঞ্জন রায় ও তার প্রেমিককে তারা স্বামী –স্ত্রী হিসাবে বসবাসের জন্য ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। শিঞ্জন রায়ের প্রেমিকার বান্ধবীর কাছে সম্প্রতি কূয়াকাটা ভ্রমনের কিছু ছবি পুলিশ জব্দ করে আদালতে জমা দিয়েছে । এসব ছবিতে শিঞ্জন রায়ের প্রেমিকা কাপালে সিদুঁর লাগিয়ে নিজেদের স্বামী –স্ত্রী হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে । পুলিশ হেফাজতে শিঞ্জন রায় সব ঘটনা স্বীকার করেছে তবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দিতে রাজি হয়নি।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক জানান, এই মামলার প্রমানাদি যা পাওয়া গেছে তাতে স্বীকারোক্তির কোন প্রয়োজন নাই । তিনি জানান সব থেকে বড় প্রমান মেয়েটি সাত মাসের গর্ভবতি দৃশ্যমান, এবং শিঞ্জন রায়ও তা অস্বীকার করছে না । এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তৌহিদুর রহমান আদালতের কাজে শিঞ্জন রায়ের পাসপোর্ট জব্দ করার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন। এই সূত্র হতে জানা গেছে, বৌ-ভাত অনুষ্টানের পর শিঞ্জন রায় তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে বিদেশ যাত্রার কথা ছিল। সেই হিসাবে দুজনার পাসপোর্ট ভিসাও লাগানো রয়েছে । এই সূত্রের ধারনা বৌ-ভাত পার হয়ে গেলে শিঞ্জন রায়ের টিকিই কেউ ধরতে পারত না ।

 উল্লেখ্য শিঞ্জন রায় খুলনার কর কমিশনার সুশান্ত কুমার রায়ের কনিষ্ট পুত্র। প্রেমিকা সাত মাসের অন্তস্বত্তা থাকার পরও ১৪ আগষ্ট অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ,কিন্তু ১৬ আগষ্ট তার বৌ ভাতের নিদিষ্ট দিনের আগে প্রেমিকার দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।