1

কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতলো ব্রাজিল

ম্যাচের ৯০ মিনিটে শঙ্কা দূর করা গোলটি করেন রিচার্লিসন। পেনাল্টি থেকে পাওয়া তার গোলে শিরোপার ইঞ্চি দূরত্বে চলে আসে ব্রাজিল। তবে শেষ ২৩ মিনিট ব্রাজিলের জন্য ছিল তেইশ লাখ আলোকবর্ষের দূরত্ব। খুব চাপে গেছে সেলেকাওদের। ব্রাজিলের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন জেসুস। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ব্রাজিলকে দশ জনের দল পেয়ে ধাক্কা দিতে পারতো পেরু। কিন্তু এভারটনের এনে দেওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-১ গোলের জয় পায় ব্রাজিল। এক যুগ পরে নিশ্চিত করে কোপার শিরোপা।

ফুটবল মাঠের ভাগ্য খুব দ্রুতই বদলে যায়! এক বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে ভক্তদের হতাশ করেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তি্নিই কাঁদর মুহূর্ত এনে দিলেন ব্রাজিলিয়ানদের।গোল করেন, গোলে সহায়তা দেন। আবার লাল কার্ড দেখে ভিলেন হওয়ার উপলক্ষ্য পেয়ে যান তিনি।

ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ এক গোল করেন জেসুস। তার চার মিনিট আগে গোল করে সমতায় ফেরে পেরু। নতুন কিছুর আভাস দেয়। সেই ব্রাজিলকে আবার অথই জলে ফেলে মাঠ ছাড়েন জেসুস। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন তিনি। পরের সময়টা অবশ্য ভালোয় ভালোয় পার করে ব্রাজিল। শেষ সময়ে গোলও করে একটি। তার আগে ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল করেন এভারটন। শেষ সময়ে পেনাল্টিও এনে দেন গ্রেমিওতে খেলা এই ফুটবলার। পুরো ম্যাচ কি, পুরো টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলেন এভারটন।

এ জয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ১২ বছর পর কোন বড় শিরোপা জিতলো। এর আগে ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে তারা। বিশ্বকাপ তো আরও পাঁচ বছর আগের স্মৃতি। নেইমারকে নিয়ে ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে হতাশ হয় সেলেকাওরা। দু’বারই তার ইনজুরি আফসোস দেয় ব্রাজিলিয়ানদের। এবার নেইমারকে ছাড়াই শিরোপা জিতে দেখালেন ব্রাজিল কোচ তিতে। কোপার আসর শুরুর আগেই নেইমার ইনজুরি নিয়ে ছিটকে যান।

এ নিয়ে কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর মাঠে গড়াল। ব্রাজিল শিরোপা ঘরে তুলল নয়বার। মোট শিরোপা জয়ের বিচারে তৃতীয় অবস্থানে তারা। ৪৪ বছর পর কোপার তৃতীয় শিরোপা লক্ষ্য বানানো পেরুকে উড়িয়ে দিল সেলেকাওরা। গ্রুপ পর্বের দেখায় পেরুকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। এ জয়ে ব্রাজিল মারাকানা জুজ কাটাল। মিনেইরোর ৭০ হাজার দর্শকের সামনে উচিয়ে ধরল শিরোপা।