1

কাশ্মীর ইস্যু: ফের টুইটার ‘যুদ্ধে’ অবতীর্ণ গম্ভীর-আফ্রিদি

খেলোয়াড়ি জীবনেও লেগে যেত দুই ক্রিকেটারের ‘যুদ্ধ’। অবসরের পরও সেই রেশ কাটেনি। সুযোগ পেলেই সময়মতো একে অপরকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেন তারা। বলা হচ্ছে, গৌতম গম্ভীর ও শহীদ আফ্রিদির বাগযুদ্ধের কথা। কাশ্মীর ইস্যুতে আরেকবার কথার লড়াইয়ে জড়ালেন ওরা।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার প্রতিবাদে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সূত্রে সীমান্তে গিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

বুধবার টুইটারে তিনি লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে আমাদের সাড়া দেয়া উচিত। শুক্রবার দুপুর ১২টায় আমি ‘মাজ়ার ই কায়েদ’-এ থাকব। ৬ সেপ্টেম্বর এক শহীদের বাড়ি পরিদর্শন করব। শিগগির সীমান্তে যাব। আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আমার সঙ্গে যোগ দেন।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে ভারতীয় সরকার। পুরোপুরি কেড়ে নেয়া হয়েছে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা। পরিপ্রেক্ষিতে এর এর আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান আফ্রিদি। ফের কাশ্মীর ভাইদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালেন তিনি।

সেবারও আফ্রিদিকে ‘চপটাঘাত’ করেন গম্ভীর। এবারো চুপ থাকেননি তিনি। সাবেক পাক তারকার এ আবেদন নিয়ে ব্যঙ্গ করেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার। আফ্রিদির একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, এ ছবিতেই আফ্রিদি জিজ্ঞাসা করছেন কোন কাজ করে আরো একবার নিজেকে লজ্জিত করা যায়। আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল, এখনো পরিণত হয়নি ও। এখনো অনেক সময় লাগবে ওর। তাই ঠিক করেছি, ওকে অনলাইন কিন্ডারগার্টেন টিউটোরিয়ালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তাব দেব।

গম্ভীর-আফ্রিদি বরাবরই যুযুধান। ২০০৭ সালে কানপুরে ওয়ানডেতে ম্যাচ চলাকালীন ঝামেলায় জড়ান তারা। সেই থেকে শুরু। এরপর ভারত-বিদ্বেষী কোনো মন্তব্য করলেই আফ্রিদিকে আক্রমণ করেন গম্ভীর।