1

কানাডায় আশ্রয় চাইলেন এস কে সিনহা

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তার স্ত্রী সুষমা সিনহাও একই আবেদন করেছেন। গত ৪ জুলাই এ দম্পতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে শরণার্থীর মর্যাদা চেয়েছেন।

কানাডার টরন্টো থেকে প্রকাশিত কোরিয়েরে কানাদিজ (দ্য কানাডিয়ান কুরিয়ার) এ খবর দিয়েছে। এর আগে বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে।

কোরিয়েরে কানাদিজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন শাখার পূর্ণাঙ্গ পৃথককরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বিচারপতি সিনহা। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এস কে সিনহার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বাতিল করা হয়। এর পর সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে এক পর্যায়ে তিনি ছুটিতে যান। বাংলাদেশ থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুরে যান সিনহা। এর পর অস্ট্রেলিয়া হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেন তিনি।

বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। গত ১০ জুলাই ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি এবং চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

তবে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারপতি সিনহা গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম অমুসলিম প্রধান বিচারপতি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সিনহা বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।