1

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৫ ডিসেম্বর

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগে দায়ের করা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গত বছর (২০১৮ সাল) ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলা হাইকোর্ট বিভাগে খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগও হাইকোর্টেও আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। এই মামলাটিসহ আরেকটি মামলা খারিজ করতে এস কে সিনহা নাজমুল হুদার কাছে মোট তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ চান।

২০১৭ সালের ২০ জুলাই এই উৎকোচ চাওয়ার পর নাজমুল হুদা প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেও তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু আসামি এসকে সিনহা ওই সময় প্রধান বিচারপতি থাকার কারণে মামলা করা থেকে পিছপা হন।

মামলায় আরো বলা হয়, ২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা ফৌজদারি মোকদ্দমা করা হয়। এমনই একটি মামলা হাইকোর্ট খারিজ করার আবেদন জানালে হাইকোর্ট প্রথমে রুল জারি করেন। পরে মামলা খারিজ করে দেন। হাইকোর্টর রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুদক। লিভ টু আপিলে হাইকোর্টের আদেশ প্রকাশ্য আদালতে বহাল রাখা হয়। কিন্তু পরে আদেশে দেখা যায়, লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। এই আদেশ পরিবর্তন করা হয়েছে, নাজমুল হুদার সংসদীয় এলাকার একজন সংসদ সদস্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি তার খাস কামরায় ডেকে নিয়ে দুই কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন। এটা না দেওয়ায় মামলার রায় পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায়ও এক কোটি ২৫ লাখ টাকা দাবি করেন এস কে সিনহা। এটা না দেওয়ায়ও নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়।