বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই মামলার বাদী লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।
বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা দ্রুত এই রায় কার্যকরের দাবি জানাই।’
এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদা জাহান স্মৃতি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এদিন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানসহ সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।
তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আসামি কাদের খানের পিএস মো. শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, সহযোগী মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া ভারতে পলাতক রয়েছেন অপর আসামি চন্দন কুমার সরকার।