1

এবার প্রতারণা জানতে পেরে SPC থেকে সরে গেলেন মাশরাফি : উকিল নোটিশ

ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও এমএলএম ব্যবসার বিষয়টি জানতে পেরে এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড নামের এক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

 

তিনি বলেন, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমাকে যে ধারণা দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক নয়। তাই দুই বছরের চুক্তি থাকলেও সব জানার পর দুই মাসের মধ্যেই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে তিনি সবাইকে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেন।

পাঠকদের জন্য মাশরাফির স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হল-

‘গত এপ্রিলে আমি ‘SPC GROUP’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম।
তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারে আমার ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে। বিনিময়ে তারা নড়াইলে ১০০টি উন্নতমানের সিসিটিভি স্থাপনসহ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারণা আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তাদের ব্যবসার ধরণ তা নয়।’

‘দুই বছরের চুক্তি থাকলেও দুই মাসের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে জানার পরই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যেই আমি তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি, আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি শেষ করার আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে।’

এদিকে মাশরাফি বিন মর্তুজার এমন স্টাটাসের পর ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই স্টাটাসে তার ভক্তরা নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা এই প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দুত হয়েছেন এমন ছবি দেখে অনেকে ইতিমধ্যে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে অনেকেই তার সরে যাওয়াকেও স্বাগত জনিয়েছেন। তাদের প্রিয় এই ক্রিকেট তারকাকে কোন প্রতারক প্রতিষ্ঠানের সাথে দেখতে চান না বলে উল্লেখ করেছেন তার ভক্তরা।

এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের প্রধানের নাম আল আমিন প্রধান। ২০২০ সালের নভেম্বরে ই-কমার্সের নামে প্রতারণার মাধ্যমে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলামিন প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইসময় এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ছয় ব্যক্তিও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

আল আমিন প্রধান একসময় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডে সক্রিয় ছিলেন। ডেসটিনি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি একই ব্যবসাপদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা শুরু করেন। মাত্র ১০ মাস সময়ের মধ্যে উচ্চ কমিশনের প্রলোভনে মোট ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৮ সদস্যের আইডি থেকে প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনসহ বাকি সদস্যরা।