1

ইরানের সামরিক শক্তিকে ভয়, হামলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল আমেরিকা

ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেছেন, অত্যাধুনিক মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন গ্লোবাল হক ভূপাতিত করার পর আমেরিকা ‘বেশ কিছু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে’ ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালায়নি বলে যে দাবি করেছে তা সত্য নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, তারা ইরানের সামরিক শক্তিকে ভয় পেয়ে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে গেছে।

তিনি বলেন, তার দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের জের ধরে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর ইরানের সামরিক শক্তির কথা বিবেচনা করেই ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি বুধবার এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
জেনারেল বাকেরি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দূরদর্শী চিন্তা ও প্রজ্ঞার কারণে সামরিক শক্তিতে তেহরান বর্তমানে এতটা অগ্রগামী হয়েছে। তিনি বলেন, সব ধরনের সমস্যা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইরানের শক্তিমত্তার উৎস ইসলামি বিপ্লব। তিনি এজন্য ইসলামি বিপ্লব ও এর নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত ২০ জুন ঘোষণা করে, তারা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করেছে। মার্কিন পাইলটবিহীন বিমানটি ইরানের হরমুজগান প্রদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। একইদিন মার্কিন সেনাবাহিনী তাদের একটি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে বলে স্বীকার করলেও দাবি করে, এটিকে আন্তর্জাতিক পানিসীমার আকাশে গুলি করেছে ইরান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর পরদিন এক টুইটার বার্তায় দাবি করেন, ইরানে হামলা চালালে প্রায় দেড়শ’ মানুষ নিহত হবে বলে জানার পর তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েও শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ওই টুইটার বার্তায় তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন যা তেহরান প্রত্যাখ্যান করে।