1

আশুলিয়ায় শ্রমিকনেতা সারোয়ারের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষ

মহামারী করোনার প্রভাবে স্থবির সারাবিশ্ব। এ প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এর ভয়াল থাবায় ধস নেমেছে এ দেশের শিল্পখ্যাতে। ইতিমধ্যে বন্ধও হয়ে গেছে অনেক শিল্প কারখানা।

 

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়ও এ চিত্র ব্যতিক্রম নয়। এই অঞ্চলেও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এই খ্যাতটি। গেল বছর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন লকডাউনের কারনে বন্ধ রাখা হয় শিল্প কারখানা গুলো। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে শিল্প কারখানা মালিকরা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানা। আবার অনেক কারখানা নতুন করে চালু করলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি এখনো। আবার এর মধ্যেই নতুন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বিভিন্ন ভূইফোড় শ্রমিক সংগঠন ও সংগঠনের নেতারা।

এমনি এক সংগঠনের নেতা সরোয়ার হোসেন। তিনি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাঁদা দাবি করে থাকেন। আর এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষ।

তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, শ্রমিক নেতা সরোয়ার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বিভিন্ন ভূইফোড় শ্রমিক সংগঠনের নামে শিল্পকারখানা গুলোতে চাঁদা দাবি করে থাকেন। এতে বিপাকে পড়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানা মালিকরা বলছেন, এরা সংগঠনের নামে কারখানা গুলো থেকে একরকম জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে থাকেন। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে এই শ্রমিকনেতা (সরোয়ার) শ্রমিকদের নানাভাবে উস্কানি দিয়ে আন্দোলন, অবরোধ ও ভাংচুর চালায় কারখানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেন, এই সরোয়ার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ঈদ বোনাস, ট্রেড ইউনিয়ন এবং সংগঠন পরিচালনার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে থাকেন। এতে বিপাকে পড়তে হয় মালিক পক্ষকে। তার দাবিকৃত চাঁদা প্রদানে অস্মতি জানালে কারখানা চালাতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ আরও বলেন, মহামারী করোনার প্রভাবে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত মালিকপক্ষ। তার উপর এই শ্রমিক নেতার চাঁদাবাজিতে কোনঠাসা হয়ে পরেছে ছোট ছোট পোষাক কারখানা। শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার তার এই চাঁদাবাজি বন্ধ না করা গেলে দ্রুত হুমকির মুখে পড়বে এই অঞ্চলের শিল্পখ্যাত। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন একাধিক শিল্প কারখানার মালিক।