1

‘আমার মেয়ের জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল’

নবম শ্রেণিতে পড়া অর্পিতা নাথের জীবনটা এলোমেলো করে দিয়েছে চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকার গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণ।

রোববার সকালে নগরীর কৃষ্ণ কুমারী স্কুলের শিক্ষার্থী অর্পিতা তার ভাই অর্ণবকে নিয়ে ছিল বড়ুয়া ভবনের নিচতলায়। বাবা কাজল নাথ ও মা মনি রানী কার্তিক পূজা উপলক্ষে গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়। দুই ভাই বোন সকালে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ছোট ভাই অর্ণবকে নাস্তার জন্য পাঠিয়ে স্কুলের জন্য তৈরি হচ্ছিল অর্পিতা। এরই মধ্যে বিকট শব্দে ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

বিস্ফোরণে অর্পিতা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত অর্পিতা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চমেক হাসপাতাল থেকে অর্পিতাকে স্থানান্তর করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন সেখানেই চিকিৎসা চলছে অর্পিতার।

অর্পিতার বাবা কাজল দেবনাথ বলেন, মেয়ের শ্বাসনালী আগুনে পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে তার মুখও। চিকিৎসা ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু আমার মেয়ের জীবনটা এলামেলো হয়ে গেল। সে যাতে প্রাণে বাঁচে এখন আমরা সেটিই চাই।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। ৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় অর্পিতার মুখ আগুনে ঝলসে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।