1

আমার আমি ও সেই তুমি

আমি যখন মাইক্রোফোন হয়ে তোমার হাতে পৌছি
তুমি তখন দারণ বক্তা হয়ে ওঠো
কথার ঝড় তোল কাঁটালচাঁপার মত মুগ্ধ আবেশ ছড়িয়ে —
অথচ তখনো ঠুকে দেও পেরেক আমার রক্তাক্ত হৃদয়ে — হয়ত নিজেও পারনা বুঝতে !
সুযোগ বুঝে কখনো কখনো সকলের সামনে উষর ঠোঁটে আদর কর হেয়ালী ছলে
তবু অগোচর থাকে সে পাহাড় ভেঁজানো অনুভূতি
ছুঁয়ে দাও দূরন্ত উষ্ণ শীতলে
কখনো ফুঁ দিয়ে মিষ্টি করে দুষ্টু সুরে নেড়ে যাও ভেতর বাহির –!
মঞ্চের সামনে বসে থেকেও —-;
কারো হয়ত জানাও হয়না সে কথা —

তেমনি করে আমি যখন পায়ে হাঁটা পথ
রুক্ষ মরুর বুকে তপ্ত ধুলোর রাজ্যে
তুমি তখন টগবগে যুবক দুপুর এক
পাগলা ঘোড়া সে ধূলো উড়িয়ে
হেঁটে যাবে বলেই নেমে যেতে ঘর হতে একদা
ছোট ছোট ধীর পায়ে —-
হঠাৎই খেই ছাড়া দৌড়ে এগোতে চায়লে যখন পথের শেষে
আমি তখনো নিশ্চুপ পড়ে থাকি এক খেলা মাঠ হয়ে
তোমার বুকের সেই কূলের কিনারে —-
সেই হতেই জলকে চলি তীরভাঙা ঢেউ হয়ে আমি এক একাকী নদীতার ডাহুকী প্রান !

একদিন খেলনা হবনা বলে নামের অক্ষরটা লিখতাম সাবধানে এই আমি
সামান্য ভুল হলেই যেন পাল্টে যায় না মানেটা অযথা
তবু কখন যে খেলনা লাটিম হয়ে গেলাম কিছু সম্পর্কে,
ভীষন আপত্তি থাকা স্বর্তেও কখন যে ঘুরপাক খেলায় দিলাম মাতিয়ে তোমাকে
আজো থেকে গেলো রহস্যটা অজানা আঁধার কথায় লুকিয়ে
অবাক লাগে ভাবতে কিছু দায় হয়ে গেলাম
কারো পেতে দেওয়া ঘাড়ের –!?
কখন কি করে যে হলাম — বোধগম্য হয়না আমার কোনভাবে
অদ্ভূতভাবেই ভীষন ভাবায় এখন আমাকে
কি করে বোঝাই আমি তোমাদের ?!
সব সম্পর্কে শুধু দায় দায় খেলা থাকেনা—
থাকে অন্যকিছু চাওয়া গহীন অন্তরালোক বাসে !
কিছু সম্পর্কে থাকে জীবন নামক কিছু সময়ের গান ,
থাকে কিছু মানে লুকিয়ে নিজের মত করে আলগোছ ,
কিছু সম্পর্কে কখনো থাকেনা অবিশ্বাস বাতাস ভরা রাত-দিন বলে কিছু কখনো
কিছু সম্পর্কে থাকে কিছু ছেঁড়া কাঁটা অন্ধকার পিছল পথ তবুও

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে চলে সময় এরপরও—-
কিছু সম্পর্কে জ্বলে থাকে আজন্ম কিছু তারাও !