1

অসিদের ঘরেই থাকল অ্যাশেজ

আগেরবার নিজেদের মাটিতে অ্যাশেজ জিতে কাজটা অনেকদূর এগিয়ে রাখে অস্ট্রেলিয়া। সে ক্ষেত্রে এবার জয় না পেলেও অন্তত সিরিজ ড্র করলেই মিলে যাবে ট্রফি- এমন সমীকরণ নিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা। তাতে অবশ্য গোমরা মুখে মাঠ ছাড়তে হয়নি। এক টেস্ট হাতে রেখেই গতকাল নিশ্চিত করল ‘দি অ্যাশেজে’র কাঙ্ক্ষিত শিরোপাটা।

ইংল্যান্ড ভালোই লড়েছে। মনেপ্রাণে চেয়েছে, জয় না হোক, ম্যাচটা বাঁচিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অপেক্ষা বাড়াতে। লেজের দিকে নেমে জস বাটলার আর ওভারটন ভয় ধরিয়ে দেন অসি শিবিরে। তবে খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি বাটলার। ৩৪ রান করে হ্যাজেলউডের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই মূলত স্বস্তি ফেরে অস্ট্রেলিয়া দলে।

স্টিভেন স্মিথের ৮২ ও ম্যাথু ওয়েডের ৩৪ রানে ভর দিয়ে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই টানা দুই বলে ররি বার্নস ও জো রুটকে তুলে নেন কামিন্স। ২ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করা ইংল্যান্ড এরপর জো ডেনলি ও জেসন রয়ের ব্যাটে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল।

তবে এরপরই আবার আঘাত হানেন কামিন্স। ৩১ রান করা রয়কে ফিরিয়ে ভাঙেন ৬৬ রানের জুটি। হেডিংলিতে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচজয়ের নায়ক বেন স্টোকস এদিন ব্যর্থ। ১ রান করে তিনিও ফেরেন কামিন্সের বলে। আর ফিফটি করার পরপরই ৫৩ রানে নাথান লায়নের বলে আউট হন ডেনলি। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর প্রতিরোধ গড়েন জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় বেয়ারস্টোকে বিদায় করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন স্টার্ক। শেষ দিকে ছোট ছোট জুটিতে এগোনোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি স্বাগতিকদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া :৪৯৭/৮ ডি. ও ১৮৬/৬ ডি. (স্মিথ ৮২, ওয়েড ৩৪, পেইন ২৩*; আর্চার ৩/৪৫, ব্রড ২/৫৪)। ইংল্যান্ড :৩০১ ও ১৯৭ (ডেনলি ৫৩, রয় ৩১, বেয়ারস্টো ২৫; কামিন্স ৪/৪৩, লায়ন ২/৫১)। ফল :অস্ট্রেলিয়া ১৮৫ রানে জয়ী।