1

অবৈধ বালু মহলের সিন্ডিকেটের জটে আটকে আছে মাতারবাড়ী কোল পাওয়ার প্রজেক্ট

মাতার বাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্রে মাটি ভরাট কাজের ৩ কোটি টাকা বকেয়া বিল আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আব্দুল মান্নান লস্কর লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান লস্কর বলেন, সরকার বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদেও সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ ৩ গুণ বেশী সময়্ওে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।

আব্দুল মান্নান লস্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালু ভরাটের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ড্রেজার্স লি: এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তির প্রেক্ষিতে আমরা কাজ শুরু করি। কিন্তু তিনমাস পেরিয়ে যাবার র্পও কোন বিল দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনকারি প্রতিষ্ঠানের এমডি শামীম রেজার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু টাকা না প্ওায়ায় পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাকা চৌধুরীর ভাই জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী। এক পর্যায়ে আমার প্রতিষ্ঠানকে কিছু টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে এশিয়ান ড্রেজার্স লি: গোপনে বিল তুলে নেয়।

বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান পসকো কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধের অনুরোধ করেন এবং এশিয়ান ড্রেজার্স এর সাথে মিটিং করেও সুরাহা হয়নি।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, এমপি ইকবার হোসেন অপু এশিয়ানকে নায্য পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বললেও, তারা পাওনা পরিশোধ না করে বালু সিন্ডিকেট তৈরী করে। সিন্ডিকেটের মোল হোতা কক্সবাজার কিং ফিশার কোম্পানির খোকন, এশিয়ানের শামীম রেজা, আব্দুল মতিন সহ লোকাল মেয়র মোকসুদ।
বর্তমানে মাটি ভরাট কাজের ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট প্রকল্পের কাজে বাধা দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা কক্সবাজারের মতিন ও খোকন। এই সিন্ডিকেট যোগ্য ঠিকাদারদেও বাদ দিয়ে প্রকল্পে লুটপাট করা।
তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।