নওগাঁর সঞ্চয় অফিস থেকে উধাও গ্রাহকদের ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে সঞ্চয়ীদের এসব টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ টিম অভিযান চালিয়েছে অফিসটিতে। সেখানে উচ্চমান সহকারী হাসান আলীর ব্যবহৃত আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.আলমগীর হোসেন জানান, জাতীয় সঞ্চয় অফিস নওগাঁ ব্যুরো থেকে ৬২ জন সঞ্চয়ীর ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ঘটনায় অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ জুন মামলা দায়ের হলে তা দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মো.আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন। তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু করে প্রথমেই গ্রেপ্তার করেন সঞ্চয় অফিসের অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে। তাকে রিমাণ্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করে দুদক জানতে পারে অফিসটির উচ্চমান সহকারী হাসান আলী ঘটনাটিতে জড়িত আছেন। আত্মসাত করা টাকার বড় একটি অংশ তার কাছে আছে বলেও জানা যায়।
দুদক কর্মকর্তারা বুধবার আকস্মিক হানা দিয়ে নওগাঁর সঞ্চয় অফিসে তল্লাশি চালান। দিনভর তল্লাশির পর হাসান আলীর অফিসিয়াল আলমারি থেকে উদ্ধার হয় ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এসব টাকা গ্রাহকের আত্মসাত করা টাকার অংশ বলেই মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
উচ্চমান সহকারী হাসান আলীকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে নওগাঁ সদর থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানতে দুদক হাসান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে কর্মকর্তারা জানান।